চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ। শেষ খবর পর্যন্ত ৪৬ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান করেছে টাইগাররা। মোসাদ্দেক হোসেন ৮ রানে ও মেহেদী হাসান ৪ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন।
কিছুক্ষণ আগে হাসান আলির বলে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (২৩)।
তার আগে একই বোলারের শিকার হয়ে শোয়েব মালিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২৯)।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জেতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন টাইগার দু’ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তবে বেশি দূর এগোতে পারেননি তারা। দলীয় ২৭ রানে জুনায়েদ খানের বলে বাবর আজমের হাতে সৌম্য (১৯) ফিরে গেলে তাদের জুটিতে ছেদ পড়ে।
সৌম্য বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন টেস্টে তামিমের ওপেনিং সঙ্গী ইমরুল কায়েস। তাকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ড্যাশিং ওপেনার। দলকে রানের মহাসড়কে তুলে দিয়ে দলীয় ১৬৯ রানে স্পিনার শাদাব খানের এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন কায়েস। ফেরার আগে ৬২ বলে ৮ চারে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।
কায়েস ফিরে গেলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন তামিম ইকবাল। এবার তাকে এসে যোগ্য সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম। তারা দু’জনে মিলে রানের ফোয়ারা ছোটাতে থাকেন। এরই মধ্যে মাত্র ৮৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। অবশ্য সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ড্যাশিং ওপেনার। ১০২ রান করে শাদাব খানের বলে জুনায়েদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ ছক্কা ও ৯ চারে।
সঙ্গী হারিয়ে ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকও। দলীয় ২৪৭ রানে জুনায়েদ খানের বলে শোয়েব মালিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৫ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ রান করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
ডিএইচ